ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ

এফ-৭ : কী আছে এই চীনা যুদ্ধবিমানে?

  • আপলোড সময় : ২২-০৭-২০২৫ ১১:০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৭-২০২৫ ১১:০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
এফ-৭ : কী আছে এই চীনা যুদ্ধবিমানে?
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে অন্তত ১৯ জন নিহত ও দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর বিধ্বস্ত হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর চীনের তৈরি তুলনামূলক কিছুটা সাশ্রয়ী এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধবিমানের সুযোগ-সুবিধা কী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে কবে যুক্ত হয় এবং বিশেষ কী বৈশিষ্ট্য আছে, তা জানার চেষ্টা করেছে ঢাকা পোস্ট। যুদ্ধবিমান ও বিমানের যন্ত্রাংশের নকশা প্রণয়ন এবং উৎপাদানকারী চীনা কোম্পানি চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের (সিএসি) তৈরি এফ-৭ বিজিআই মূলত বহুমুখী অভিযান ও উন্নত প্রশিক্ষণে সক্ষম একটি হালকা যুদ্ধবিমান। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী বিশেষভাবে এই বিমান তৈরি করে চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন। বিধ্বস্ত হওয়া এফ-৭ যুদ্ধবিমানটি চেংদুর এফ-৭ সিরিজের ফাইটার বিমানের আধুনিক সংস্করণ। সোভিয়েত আমলের মিগ-২১ এর মডেলের আদলে এই বিমানটি তৈরি করে চীন। বৈশ্বিক মানদণ্ডে পুরোনো এবং সেকেলে এফ-৭ বিমান তুলনামূলক কিছুটা সাশ্রয়ী। পাইলটদের প্রশিক্ষণে ও যুদ্ধকালীন সীমিত ভূমিকা রাখতে পারে এই বিমান। ২০১৩ সালে চীন ১৬টি এফ-৭ বিমান বাংলাদেশে রপ্তানি করে। সেটিই ছিল এই বিমানের শেষ চালান। এরপর থেকে চীন এফ-৭ বিমানের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের নকশা করা এফ-৭ পরিবারে বেশ কিছু বিমান রয়েছে। এর মধ্যে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সবচেয়ে উন্নত মডেলের যুদ্ধবিমান এফ-৭ বিজিআই। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী সাশ্রয়ী ও বহুমুখী অভিযানে পারদর্শী যুদ্ধবিমান হিসেবে এফ-৭ বিজিআই তৈরি করেছে (সিএসি)। জে-৭জির উন্নত সংস্করণ হিসেবে তৈরি করা এফ-৭ বিজিআইতে বিমান পরিচালনা এবং যুদ্ধ-দক্ষতার দিক থেকে নাটকীয় উন্নতি আনা হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী যুদ্ধবিমানের বহর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এই মডেলের ১৬টি বিমান আমদানি করে। চীনে চেংদু জে-৭ নামে পরিচিত এফ-৭ যুদ্ধবিমান মূলত এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিসরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবাহিনীর বহরে এই যুদ্ধবিমান ব্যবহৃত হচ্ছে। গতি ও শক্তি : এফ-৭ বিজিআইয়ের সর্বোচ্চ গতি মাক-২.২। এক আফটারবার্নিং ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত এই বিমান ৮২ কিলোনিউটন শক্তি উৎপন্ন করে। উন্নত ককপিট : বিমানের ককপিটে তিনটি মাল্টি-ফাংশনাল এইচইউডি ডিসপ্লে ও এইচওটিএএস নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়েছে। এর ফলে পাইলটকে প্রতি মুহূর্তে উচ্চ সতর্কাবস্থায় থেকে বিমানটি পরিচালনা করতে হয়। নতুন রাডার : এফ-৭ বিজিআই বিমানে কেএলজে-৬এফ ফায়ার কন্ট্রোল রাডার রয়েছে। যা ৮৬ কিলোমিটারেরও বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। এছাড়া একই সময়ে একসঙ্গে ছয়টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও একযোগে দুটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে বিমানটি। চালনার ক্ষমতা : এফ-৭ বিজিআই বিমানে জে-৭জি২ এয়ারফ্রেম এবং ডাবল-ডেল্টা উইং ডিজাইন ব্যবহৃত হওয়ায় এটি অনেক উঁচুতে উঠে আক্রমণ চালাতে পারে। এর ফলে এই বিমানের স্থবির হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। সমসাময়িক অনেক যুদ্ধবিমানের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এফ-৭ বিজিআইয়ের। অস্ত্র বহন ও হামলার সক্ষমতা : এফ-৭ বিজিআই বিমানে সাতটি হার্ড-পয়েন্ট রয়েছে। এর ফলে বিমানটি পিএল-৫, পিএল-৭, পিএল-৯ এমনকি পিএল-১২ এর মতো স্বল্প পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। পাশাপাশি বোমা, আনগাইডেড রকেট এবং সর্বোচ্চ ৩ হাজার পাউন্ড ওজনের চীনা লেজার গাইডেড বোমা নিক্ষেপেও সক্ষম এই বিমান। বিশেষ সক্ষমতা: চীনের তৈরি এই বিমান জাহাজ-বিধ্বংসী সি-৭০৪ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। এর ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে এফ-৭ বিজিআই বিমান। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন এফ-৭ বিজিআইয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ও প্রযুক্তির বিশেষ ব্যবহার করলেও এটি মূলত স্বল্প-পাল্লার আকাশযুদ্ধ এবং প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত। আধুনিক বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী যুদ্ধবিমানের মতো এই বিমানের দৃষ্টিসীমার বাইরে (বিভিআর) ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা নেই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স